বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২২ অপরাহ্ন
ফিরোজ মাহমুদ স্টাফ রিপোর্টার (খুলনা):-ঘটনার বিবরনে জানা যায়, ভিকটিম স্বপন সহ চোর চক্রের সদস্য আসামী হোসেন, রাজু, মিজান, রানারা দীর্ঘদিন ধরে দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরী খুলনা,র ভিতর বিভিন্ন মালামাল চুরি করে ভাংগারির দোকানে বিক্রয় করে আসছিল। চোর চক্রের সদস্যদের ভিতরে টাকা পয়সা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় আসামীদের সাথে স্বপনের বিরোধ সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন স্বপন আসামী হোসেনকে দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরীতে চুরি করার জন্য আসতে বলে। তখন আসামী হোসেনসহ বাকি চোর চক্রের সদস্য রাজু, মিজান ও রানাকে ঘটনাটি জানায়। আসামীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে চাপাতি, ছুরি, রেইন্জ স্লাইট নিয়ে দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরীর দিকে আসাতে শুরু করে। আসামীরা প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত ১০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ ভিকটিম স্বপনকে ঢাকা ম্যাচ ইন্ডাষ্ট্রিজ ভিতরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ পথ রোধ করে। রাত অনুমান ০১.২৫ ঘটিকার সময় প্রথমে প্রধান আসামী হোসেন ভিকটিম স্বপনকে ধারালো চাপাতি দিয়ে কাধে কোপ দিলে ভিকটিম স্বপন মাটিতে লুটিয়ে পরে, পরবর্তীতে আসামী মিজান আরো ৪/৫টি কোপ দেয়। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য আসামী রানা পরবর্তীতে ভিকটিমের দুই পায়ের রগ কেটে দেয়। মৃত্যু নিশ্চিত হলে আসামীরা বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে যাওয়া শুরু করে এবং দেশ ত্যাগ করার পরিকল্পনা করে। ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার বিষয় র্যাব সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।
১২ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ র্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, “স্বপন” হত্যা মামলার প্রধান আসামী বাগেরহাট জেলার রামপাল থানা এলাকায় অবস্থান করছে। আসামী ধরার লক্ষ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ বাগেরহাট জেলার রামপাল থানাধীন রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে “স্বপন” হত্যা মামলার প্রধান আাসমী ১। হোসেন(৩০), থানা-লবনচরা, জেলা-কেএমপি খুলনা’কে গ্রেফতার করে। এর পূর্বে গত ১১ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ একই মামলার অন্যতম ২য় আসামী কাদের জোয়াদ্দার রাজুকে র্যাব-৬ কর্তৃক গ্রেফতার